লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় মাদ্রাসা পড়ুয়া ছোট ভাইকে খাবার দিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন বড় ভাই হাবিবুর রহমান সিফাত। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় দু’টি অভিযোগ করা হয়েছে।
হাবিবুর রহমান ওই উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নে কেতকীবাড়ী এলাকার হোসাইনুর রহমানের ছেলে। তার ছোট ভাই হাসানুর রহমান কেতকীবাড়ী নুরানী তালেমুল মাদ্রাসার ছাত্র। হামলার ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা হোসাইনুর রহমান বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আপন চাচা রাকিব আলীর সঙ্গে তাদের পূর্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন রাত ৯ টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে ছোট ভাইকে খাবার দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন হাবিবুর রহমান সিফাত, পথে কেতকীবাড়ী বিদ্যালয় মাঠে তার গতিরোধ করে অভিযুক্তরা। তাকে থামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন চাচা ও তার দলবল।
মারধর সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করতে থাকেন হাবিবুর। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ সময় হাবিবুর রহমানের পকেটে থাকা প্রায় ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।
মেডিকেলের বেডে শুয়ে মারধরের শিকার হাবিবুর বলেন, ভাইকে খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ করে তারা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে বেধড়ক মারধর করে তারা। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
অভিযুক্ত চাচা রাকিব আলী হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে লিখনের ওপর হামলা চালায় হিরুর ছেলে হাবিবুর। আমি এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহা আলম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে পৃথক পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।